আমি এরুপ একটি মেয়ের সম্বন্ধে জানি, সে তার এক সুমন দাদার সংস্পর্শে এসে আস্তে আস্তে অতি অল্প বয়স থেকে যৌন-সংসর্গ করতে বাধ্য হয়েছিল। তার পুর্বে সে ছিল ফুলের মত নির্মল, নিস্পাপ ও অনাঘ্রাতা। কিন্তু ভগবান দত্ত রুপ ও যৌবনের আকর্ষণে আকৃষ্ট হয়ে কেমন করে তার সর্বনাশ সাধিত হয়েছিল, তারই ইতিহাস আমি অতি সংক্ষেপে এখানে বলছি।
অবশ্য এটা শুধু তারই ক্ষেত্রে ঘটেনি, সচরাচর সব মেয়েরই ভাগ্যে এ-রকম ঘটে থাকে, যদি না সে একটু শক্ত হয় বা এ সম্বন্ধে তার কোনও সম্যক জ্ঞান থাকে ! বাবা-মা কারো সকল সময়ে সব ব্যাপারে চোখ দিয়ে রাখেন না বা রাখা সম্ভব নয়। তথাপি এটা সত্য যে, আজকাল অধিকাংশ মেয়েরই অসৎ পথে যাওয়ার মুলে হচ্ছে, এইসব দাদা বা ভাইদের প্ররোচনা ও তাদের যৌন ক্ষধা চরিতার্থ করবার সহজ অবলম্বন।
মেয়েটির নাম লিলি। বয়স বড় জোর বারো। তখনও সে ফ্রক পরে বেড়ায়। কিন্তু যৌবনেচিত লক্ষণ সমুহ সবই তার দেহে সেই বয়সেই পরিস্ফুট হয়ে উঠেছিল। স্তন দুটি বেশ বড় হয়ে উঠেছিল, তবে এটি তখনও কারোর দ্বারা টেপানো হয়নি। ফ্রকের ভেতর টাইট-ব্রেস্ট পরে থাকা সত্ত্বেও দুই পাশের দুটো উচু ঢিপি বেশ ভালভাবেই নজরে আসত। তার সৌন্দয্যই লোককে তার প্রতি আরও বেশী আকৃষ্ট করত। মাথায় একরাশ কোঁকড়ান কালো চুল, রং টকটক করছে ফরসা, যেন হাতে গড়া প্রতিমা মুর্তি। একবার দেখলেই চোখ ফিরিয়ে নেওয়া শক্ত হোত।
বাড়ির বড় বড় দাদা ও ভায়েরা থেকে শুরু করে পাড়ার ছেলেরা পর্যন্ত সকলেই লিলির রুপে পাগল। তাকে দেখবার জন্যে সকলেই উদগ্রীব লিলি কিন্তু এ সবের কিছুই ধার ধারত না। কারণ তখনও তার মধ্যে যৌবনের চেতনা পুরোপুরি জাগেনি। শুধু মাঝে মাঝে তার সেই সুমন দাদা যখন তাকে আদর করে জড়িয়ে ধরত বা চুমো খেত, তখন তার কি রকম একটা মনে হোত, কান দুটো লাল হয়ে উঠত। সে জোর করে তার বুকের সান্নিধ্য ছেড়ে দুরে পালিয়ে যেত, কিন্তু এই সোহাগ ও আদর তার খুব ভাল লাগত। মুখ ফুটে বিশেষ কিছু আপত্তি না জানালেও, এতে যে তার খুব অমত ছিল না, সেটা ঠারে ইসারায় বুঝিয়ে দিত। সে অন্ততঃ একবার করে একলা নির্জনে তার ঐ সুমন বড়দার সঙ্গে প্রতিদিন যে কোনও ছুতোর দেখা করতই এবং তার সারাই তার মনের ভার প্রকাশ পেত।
যাই হোক, এই লুকোচুরির মধ্যে দিয়ে ছটা মাস কেটে গেল। লিলি ফ্রক ছেড়ে শাড়ী ধরল। এই সময় হল তার ঋতু বা মাসিক। এ সম্বন্ধে তার তখন খুব ভাল জ্ঞান ছিল না। তার মা তাকে এই বিষয়ে যা যা করা দরকার সব বলে দিলেন। এরপর পর পর তার দুবার মাসিক হয়ে গেল।
একদিন লিলির কি রকম একটা উত্তেজনা দেখা দিল, একটা অস্বস্তি বোধ করতে লাগল। এটা যে তার যৌন তাড়না, সে সেটা বুঝতে পারল না। কিন্তু স্বভাব ধর্মবশতঃ দাদার কাছে গিয়ে হাজির হল ও তার গায়ে, পিঠে পড়ে তাকে বিরক্ত করতে লাগল।
প্রথম প্রথম তার দাদার এতে উত্তেজনা না এলেও, লিলির কিন্তু বেশ ভাল লাগছিল। একজন পুরুষের পক্ষে ও এই রকম অবস্থায় বেশীক্ষণ উত্তেজনা চেপে রাখা সম্ভব নয়। তার সুমন দাদা, হঠাৎ তাকে চেপে ধরে খুব ঘন ঘন চুমো খেতে লাগল আর স্তনের বোঁটার ওপর সুড়সুড়ি দিতে লাগল। কোথা থেকে কি হয়ে গেল। লিলি নিজেকে আর সামলাতে পারল না, সে তার দাদার এপর গড়িয়ে পড়ল। একটা অদ্ভুত শিহরণ তার সমস্ত দেহের মধ্যে বোধ করতে লাগল। সেও প্রতিদানে তার দাদাকে প্রাণপণে চেপে ধরল। এতে উভয়েরই উত্তেজনা বেড়ে গেল। তখন তাদের দাঁড়াবার শক্তিও লোপ পেয়ে গেছে। তারা বিছানায় শুয়ে পড়ল।
উভয়ের তখন চরম মুহুর্ত, ঘন ঘন নিঃবাস পড়ছে। একটা গরম ভাব বোধ হতে লাগল। কিছুক্ষণ পরে লিলির সম্বিত ফিরে আসতে দেখে তার দাদা তার ওপর উপুড় হয়ে শুয়ে রয়েছে। তার সমস্ত দেহ উলঙ্গ, কোথাও কোন আবরণ নেই।
কিছুক্ষণ পরে সুমন দাদা হঠাৎ উঠে পড়ল ও ঘরের লাগোয়া বাথরুমে চলে গেল। লিলি অল্পক্ষণ নিঃঝুমের মৃত পড়ে রইল সব ব্যাপারটা ভাল করে বোঝাবার চেষ্টা করল। ভীষণ লজ্জা করতে লাগল। উঠে দৌড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল।
সঙ্গে সঙ্গে কলঘরে গিয়ে লিলি দেখে তার সমস্ত সায়া ভিজে গেছে। আর যোনির মুখে একটা ব্যথা বোধ হচ্ছে। খুব ভয় পেয়ে গেল সে। যদি মা কিম্বা আর কেউ টের পেয়ে যান। কি করবে ভেবে ঠিক করতে পারল না, সব ধুয়ে-টুয়ে পরিষ্কার হয়ে সে মুহুর্তে গতিতে কলঘর থেকে বেরিয়ে যেমনি খানিকটা দুরে গেছে, তার দাদা তাকে হাতছানি দিয়ে দুর থেকে ডাকলো। তার তখন ভয়ে বুক কাঁপছে, আস্তে আস্তে কাছে গেল।
তার দাদা তাকে ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে খানিকটা উপদেশ দিল আর একথা কাউকেও জানাতে নিষেধ করে তাকে ঘরে ফিরে গিয়ে পড়তে বলল।
যাই হোক, সে যাত্রায় কোনও গণ্ডগোল হোল না লিলির। কিন্তু এটাই প্রথম যৌন-সংসগ। খুবই ভাল লাগল। সে সেই সুখানুভূতি বহুদিন পর্যন্ত ভুলতে পারল না।
এরপর থেকে তার উত্তেজনা উন্মাদনা বেড়ে গেল এবং মাঝে মাঝে তার উপশমও করাত তার দাদাকে দিয়ে। তখন থেকে তার সাজগোজেরও খুব ঘটা পড়ে গেল। প্রায়ই কৌশলে সে সেই সাজগোজ করা দেহ সৌষ্য পাঁচজনকে দেখাতো ও নিজে আয়নার সামমে দাঁড়িয়ে তা মুগ্ধ দৃষ্টিতে দেখত।
তার দাদা যদি কোনও কথা জিজ্ঞেস করত, একটু মুচকি হেসে মাথা নিচু করে অস্ফুট ভাবে অসম্পুর্ণ অর্থ যুক্ত উত্তর দিত।এটাই প্রেমের লক্ষণ। প্রেমের পরেই এল ভালবাসার লক্ষণ। তারপর নিয়মিত লিলির সঙ্গে তার দাদার এই অবৈধ যৌনসংসর্গ পুরোদমে চলতে লাগল।
দেখতে দেখতে এক বছর কেটে গেল। দুইজনেই অনাড়ী। ঘন ঘন সহবাসের ফলে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করার কোনও রুপ ব্যবস্থা না করার দরুণ অতি শীঘ্রই লিলির গর্ভসঞ্চার হল।
প্রথমে তারা এই বিষয়ে কিছুই বুঝতে পারেনি। লিলির শরীর খারাপ হতে, খাওয়ায় অরচি আসতে, মা-বাবা মনে করলেন, ওটা কিছু নয়, দুই-একদিনে সেরে যাবে। এরপর লিলির মাসিক বন্ধ হয়ে গেল যখন টের পেলেন তখন তারা ধারণা করতে পারেন না যে এর মধ্যে কোনও খারাপ ব্যপার থাকতে পারে।
দেখতে দেখতে তিন মাস কেটে গেল। লিলির সুমন দাদা এইবার বুঝতে পারল যে মহা সর্বনাশ হয়ে গেছে। সে একদিন কাউকে কিছু না বলে বাড়ী থেকে বেরিয়ে চলে চলে। এরপর গতানুগতিক ভাবে আরো বেশী শরীর খারাপ হতে লাগল। লিলিকে ডাক্তার দেখান হল। তখন আস্তে আস্তে সমস্ত ব্যপারটাই সকলের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেল।
লিলির মা-বাবার মাথায় বজ্রাঘাত হল। ধীরে ধীরে লিলি সৌন্দৰ্য্যহীন হয়ে পড়ল। তার মা-বাবা অনেক ভেবে চিন্তে ঠিক করলেন গভস্থিত প্রণকে অপারেশনের দ্বারা নষ্ট করে ফেলবেন। তা না হলে মান সম্মান সবই যাবে। অপারেশন হল। কিন্তু লিলির সৌন্দর্য্য চিরদিনের জন্যে চলে গেল। আগের আর সেই জৌলষ রইল না। শরীরও এরপর থেকে ভেঙ্গে পড়ল। লিলির বাবা গত্যন্তর না দেখে তাড়াতাড়ি মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিলেন। অবশ্য এর ফলে লিলির জীবন কি তার স্বামীর জীবন কারুরই সুখের হল না।
Leave a Reply